October 27, 2024, 6:25 am
তামান্না আক্তার হাসিঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ, অপহরণ, চাদাবাজী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার এবং জঙ্গীবাদের মতো ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূল ও সেগুলোর রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি চোরাই কারবারি বন্ধের লক্ষ্যে অসাধু চোর ও ছিনতাই চক্র গ্রেফতার ও তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারা যায় যে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন হাতিরপুল এলাকার একটি ফ্ল্যাটে কিছু অসাধু মোবাইল ব্যবসায়ী সরকারের নির্ধারিত ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আমদানিকৃত অনিবন্ধিত, চোরাই ও নকল মোবাইল ফোনোর পার্টস বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করে রেখেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখ রাত ০০.৩০ ঘটিকা হতে ভোর ০৫.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত বিটিআরসি এর প্রতিনিধিসহ উক্ত বাসায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল, মাদারবোর্ড, চার্জার এবং নকল মোবাইল ফোনের পার্টস উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে নোকিয়া ব্র্যান্ডের-৩০৭ টি, স্যামসাং ব্র্যান্ডের-১৯৪ টি, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাদারবোর্ড-১৫৭ টি, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চার্জার-১৫৭ টিসহ সর্বমোট ৫০১ টি অনিবন্ধিত ও নকল মোবাইল ফোন যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ লক্ষ টাকা। সর্বমোট ৫০১ টি অনিবন্ধিত মোবাইল ও নকল মোবাইল ফোনের পার্টসসহ নিম্মোক্ত ০১ জন চোরাকারবারী চক্রের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।মোঃ খুলিল উল্যাহ (৫৩), জেলা-ব্রাহ্মনবাড়িয়া।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি উক্ত অনিবন্ধিত চোরাই মোবাইল ফোনের পার্টসের অবৈধ ব্যবসার সত্যতা স্বীকার করে। অভিযান চলাকালীন সময়ে অভিযানস্থলে বিটিআরসি এর প্রতিনিধি দল তাদের নিজস্ব সফটওয়ার ও সার্ভার এর মাধ্যমে যাচাই করে বর্ণিত ৫০১ টি মোবাইল ফোন সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে চোরাইপথে আমদানিকৃত ঘোষণা করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দেশ হতে চোরাই পথে অবৈধভাবে উক্ত মোবাইল ফোন দেশে নিয়ে আসে এবং তার মোবাইল আমদানি করার কোন বৈধ লাইসেন্স নাই, এছাড়াও বিভিন্ন দেশ হতে চোরাই পথে নকল মোবাইল ফোনের পার্টস এনে বৈধ লাইসেন্স ব্যতীত নিজে এসেম্বলিং এর মাধ্যমে মোবাইলগুলো পাইকারী দরে বিক্রয় করে। এভাবে সে সরকারের নির্ধারিত রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা বিভিন্ন জনসাধারণের নিকট বিক্রয় করে প্রচুর মুনাফা করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল।
উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন এবং তার সাথে অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতার করার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতে এরূপ অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।